এক মিনিটে (৫০০) পাঁচশোটি রহমত লাভের সুবর্ণ সুযোগ
..............................
মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ শফিক......
'সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম'
ইচ্ছে থাকলে সংক্ষিপ্ত এই দরুদ শরীফটি এক মিনিটে পঞ্চাশবার পড়তে পারেন।
মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ শরীফে বর্ণিত আছে, নবীজি সা. এর উপর একবার দরুদ শরীফ পড়লে আল্লাহ পাক তাঁকে দশটি রহমতে আবৃত করবেন।
সে হিসেবে এক মিনিট সময় খরচ করে পঞ্চাশবার দরুদ শরীফটি পড়লে তার উপর ৫০*১০=৫০০ টি রহমত নাযিল হচ্ছে।
প্রতিদিনে পাঁচশো হলে এক মাসে কতো?
এক মাসে ১৫,০০০ রহমত নাযিল হচ্ছে।
'সুবহানাল্লাহ'।
এক বছরে কতো?
এক লাখ আশি হাজার রহমত।
বিশ বছরে?
ছত্রিশ লাখ রহমত।
পঞ্চাশ বছরে?
নব্বই লাখ রহমত।
আল্লাহু আকবর!
প্রতিটি আমল ১০ গুণ বেড়ে যায়। সে হিসেবে নয় কোটি রহমত নিয়ে যাচ্ছে এই লোক মরণকালে।
কতো সৌভাগ্য!
আল্লাহু আকবর!
সামান্য একটু মনোযোগের ফল। মহান আল্লাহ তাআলা ও তাঁর প্রিয় হাবীবকে একটু স্মরণ করার ফল।
আহ!
জানি না!
কবে মানুষ তার নবীকে চিনবে! তার সবচেয়ে প্রিয়জনকে চিনবে?
এবার আসুন! হাদীস শরীফটি দেখি-
হযরত আবূ হুরাইরাহ রা. সূত্রে বর্ণিত আছে যে,
রাসূল সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ শরীফ প্রেরণ করবে, তার প্রতিদানস্বরূপ আল্লাহ পাক তাকে দশটি রহমতে আবৃত করবেন।
( মুসলিম-১/৩০৬, হা: ৪০৮, আবূ দাউদ-২/১৮৪, হা: ১৫৩০, তিরমিযী -২/৩৫৫, নাসাঈ -১/৩৮৪)।
ইমাম শাওকানী রহ. স্বীয় গ্রন্থ 'তুহফাতুযযাকিরীন' এ লিখেছেন যে,
রাসূল সা . ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ শরীফ প্রেরণ করবে, তার প্রতিদানস্বরূপ আল্লাহ পাক তাকে দশটি রহমতে আবৃত করবেন, দশটি পাপ ক্ষমা করে দিবেন এবং দশটি মর্যাদার অধিকারী করবেন।
(তুহফাতুযযাকিরীন- পৃ. ৩৪)
ইমাম নাসাঈ ও তাবরানীর এক বর্ণনায় রয়েছে যে,
ইহা ছাড়াও পাঠকের আমলনামায় দশটি নেকীও লিপিবদ্ধ করা হবো।
দরুদ শরীফের ইহলৌকিক ফজিলত সম্পর্কে একটি হাদীসে বর্ণিত আছে যে, জনৈক ব্যক্তি রাসূল সা. এর শরণাপন্ন হয়ে আরয করল, হে রাসূল সা.! আমার জীবনাদ্যোপান্ত আপনার প্রতি দরুদ শরীফ প্রেরণে সম্প্রদান করেছি।
তদুত্তরে রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, তোমার উপর উভয় জগতের বিষণ্নতা, দুঃখ বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং তোমার পাপও ক্ষমা হয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উপরে বর্ণিত দরুদ শরীফের ফজিলত অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমীন!